আতিকুর রহমান মানিক:
বাংলাদেশী পাসপোর্ট পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে রোহিঙ্গা নারীরা। জালিয়াতির মাধ্যমে রোহিঙ্গা এসব মহিলাকে নিজের মেয়ে সাজিয়ে ভূয়া কাগজপত্র দিয়ে সহায়তা করছে অসাধু ও লোভী কতিপয় বাংলাদেশী নাগরিক। ইতিপূর্বে কয়েকদফা এরকম জালিয়াতির প্রচেষ্টা রুখে দেয়ার পর কক্সবাজার অাঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে সোমবার ফের আটক হয়েছ রোহিঙ্গা মহিলা। এসময় কৌশলে পালিয়েছে কথিত মা।
আটক রোহিঙ্গা মহিলা রিজিয়াকে ৩ মাসের কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
কক্সবাজার অাঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক আবু নাঈম মাসুম সিবিএন’কে জানান, কয়েকদিন আগে রামু উপজেলার রশিদনগর ইউনিয়নের উত্তর নাছিরা পাড়ার সৈয়দ আকবরের মেয়ে রিজিয়া বেগম (১৯) পরিচয়ে পাসপোর্ট আবেদন করে এক মহিলা। কাগজপত্র ও কথাবার্তায় সন্দেহ হলে আবেদনটি জমা না নিয়ে অবিভাবককে নিয়ে আসতে বলা হয়। এর প্রেক্ষিতে সোমবার দুপুর বারটায় আবেদনকারী মহিলার মা সেজে পাসপোর্ট অফিসে আসে সৈয়দ আকবরের স্ত্রী হাসনা আরা (৪০)। তখন তাদের উভয়কে জেরা করলে নাম-ঠিকানায় অসঙ্গতি ও জালিয়াতির বিষয়টি স্পষ্ট হয়। অবস্হা বেগতিক দেখে টয়লেটে যাওয়ার নাম করে পালিয়ে যায় কথিত মা হাসনা আরা। এরপর কথিত রিজিয়া বেগমকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পরে বিকালে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সেলিম শেখ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ভূঁয়া পরিচয়ে পাসপোর্ট করার চেষ্টার অপরাধে তাকে বাংলাদেশ দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ২৯১ ধারা লঙ্ঘনের দায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস সূত্র জানায়, চলতি মাসের ১ ও ৭ তারিখেও পাসপোর্ট জালিয়াত রোহিঙ্গা মহিলা ছেনুয়ারা, তৈয়বা, রোজিনা ও কথিত পিতা এজাহার আলমকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদন্ড দেন ভ্রাম্যমান আদালত।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।